আলমডাঙ্গা অফিসঃ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গড় চাপড়া মাঠের একটি মেহগুনিবাগানে এক যুবকের অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যুবকের লাশসহ একটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে হত্যার পর আলামত নষ্ট করার উদ্দেশ্যে যকুকের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও দেহটি জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
যুবকটির নাম সবুজ (২০)।সে ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের জয়নালের ছেলে। সবুজ পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ও পুরাতন মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী বলে জানা যায়।
পূর্ব শত্রুতা জেরে অথবা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করছে স্থানীয় জনতা।
স্থানীয় এক কৃষক সকালে মাঠে কাজ করতে গেলে এই ভয়াবহ দৃশ্যটি দেখতে পান, পরে স্থানীয়দের মধ্যে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে এবং আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে।
পর্যায়ক্রমে জেলা পুলিশের একটি টিম, সিআইডি ক্রাইম সিন ও সেনাবাহিনীসহ জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল কর্মকর্তা পর্যায়ক্রমে জায়গাটি পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান বলেন, মৃত যুবক আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু মসজিদ পাড়ার জয়নালের ছেলে সবুজ , জয়নাল পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। এ ঘটনার পেছনে কী রহস্য রয়েছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।এব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিহাদ ও সৈকত নামে দুজনকে আটক রাখা হয়েছে।
এদিকে নিহত সবুজের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, মোটরসাইকেলর ব্যবসা নিয়ে বেশকিছুদিন ধরে কয়জনের সাথে মনোমালিন্য চলছিলো,বিষয়টি রীতিমতো রেষারেষির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। ঘটনার আগের দিন বিকালের দিকে তার ফোনে একটি মেসেজে, তাকে ডাকা হয়েছে, এই কথা জানিয়ে সবুজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘন্টাখানেকের মধ্যে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি, ফোন সুইচড অফ দেখায়। তারপরেই তার স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা খোঁজাখুশি শুরু করে।
অবশেষে তার দগ্ধ লাশের সন্ধান মিলে।
এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে নিকটতম আত্মীয়-স্বজনেরা দাবি করেছেন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে অনতিবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
ময়না তদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয় এবং সন্ধ্যায় দাফন সম্পন্ন হয়।