অফিস ডেস্ক ঃ
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম হত্যার কিলিং মিশনে অংশ নেয়া সবাইকে (নয়জন) গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করলেও হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তবে ব্যবসা ও রাজনৈতিকসহ নানা কারণ আমলে নিয়েই তদন্ত চলছে বলে জানালেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে এখন পর্যন্ত যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল। এ দুজন খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী চরমপন্থি নেতা শিমুল ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
শিমুল ধরা পড়লেও ওই দুজন পলাতক ছিলো। শেষ পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদেরও গ্রেফতার করতে পেরেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এরপর বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, এ দুজন সংসদ সদস্য আনার খুনে সরাসরি অংশ নেন। খুনের ১১ দিন আগে তারা বাংলাদেশ থেকে ভারতের কলকাতায় গিয়ে সেখানকার নিউমার্কেট এলাকায় একটি হোটেলে ওঠেন। খুনের ছয় দিন পর তারা ঢাকায় ফিরে আত্মগোপনে চলে যান।
কলকাতা থেকে দেশে ফিরে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকেন। সর্বশেষ তারা নিজেদের হিন্দু পরিচয় দিয়ে আশ্রয় নেন পাতাল কালীমন্দিরে।
ডিবি প্রধান আরও জানান, আনোয়ারুল আজিমকে অচেতন করতে তার ওপর চেতনানাশক ব্যবহার করেছিলেন ফয়সাল। অন্যদিকে, খুনের আগে আনোয়ারুলকে চেয়ারে বেঁধে ফেলার কাজটি যারা করেন, তাদের মধ্যে ছিলেন মোস্তাফিজুরও।
হারুন অর রশীদ বলেন, কিলিং মিশনে অংশ নেয়া সবাইকে গ্রেফতার করতে পারলেও এখনও হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। এর মধ্যে ভারতে আছেন দুজন। দ্রুতই এ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উন্মোচন করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।