1. admin@dailylikonisongbad.com : admin :
  2. shakshakil4@gmail.com : Rana : Rana Ahmed
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বৈদ্যুতিক সার্কিট থেকে বাসায় আগুন রামপালে অর্থনৈতিক শুমারি বাস্তবায়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা দেবহাটার শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন আটক সাতক্ষীরায় জলবায়ু নায্যতার দাবি জানিয়ে দূর্যোগ কবলিত মানুষের সমবেত বিক্ষোভ শিবচরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন । কালিগঞ্জে উপজেলা বিএনপি’র উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত মোঃ আজগার আলী, জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঘোষিত ৩১ দফা অবহিতকরণ ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষে গণসমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলার সোহরাওয়ার্দী পার্কে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশটিতে সদস্য সচিব ডা: শেখ সফিকুল ইসলাম বাবু ও উপজেলা যুবদলের সিনিঃ যুগ্ন আহবায়ক প্রভাষক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সমন্বয়ক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব। উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির আহবায়ক শের এ আলী, সদস্য সচিব তাসকিন আহমেদ চিশতি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সোহেল আহমেদ মানিক, জেলা তাতি দলের আহবায়ক শাহারিয়ার রিপন, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুস সামাদ, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক সালাউদ্দীন লিটন প্রমুখ। এছাড়া কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি এবং তার অংগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মিসহ জনসাধারণে পরিপূর্ণ হয় সভাস্থল। সমাবেশটিতে বক্তারা বলেন প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য অব্যাহত আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎমুখী এক নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছানো। মানবিক মূল্যবোধ ও মানুষের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং অমানবিক নিষ্ঠুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অবসান ঘটানো সহ মানবাধিকার বাস্তবায়ন এবং গত দেড় দশক যাবত সংগঠিত সকল বিচারবহির্ভূত হত্যা, ক্রসফায়ারের নামে নির্বিচারে হত্যা, গুম, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্মম শারীরিক নির্যাতন এবং নিষ্ঠুর ও অমানবিক অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকল ব্যক্তিকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুবিচার নিশ্চিত করা সহ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে সাম্য মানবিক ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করা সম্ভব। তারা জনগণকে সাথে নিয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করে যাওয়ার দৃড় অঙ্গীকারন ব্যক্ত করেন। সাফ জয়ী সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান নারী ফুটবলার প্রান্তির জন্মদিন পালন ২১ নভেম্বর সাড়ে তিন বছর পর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ভোমরায় বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসায়ী নেতাদের শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় নবজীবন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ৩ মাস ব্যাপী গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিত্তিক কম্পিউটার ফ্রিল্যান্সিং কর্মমুখী প্রশিক্ষণ

কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স দ্বারা লাঞ্ছিত ও সেবায় অবহেলিত রোগী”অভিযোগের শেষ নেই।

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
  • ৬০ বার পঠিত

 

এনামুল কবির সবুজ কেশবপুর।।

যশোরের কেশবপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধিকাংশ নার্সদের কাছে প্রতিনিয়ত চরম খারাপ ব্যবহার, হয়রানি, অবহেলা ও নানা ধরনের ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন চিকিৎসাসেবা নিতে আসা অসংখ্য সাধারণ রোগী ও মুমূর্ষ রোগী এবং রোগীর সাথে আসা রোগীদের স্বজনরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সম্প্রতি একজন ভুক্তভোগী শিশু রোগীর মা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর একমাত্র কন্যার জরুরী চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য গত রবিবার (০৫’ই মে) কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখান থেকেই শুরু হয় তার প্রথম হয়রানি। তিনি যখন নার্সদের কাছে সহযোগিতা চান তখন থেকেই তারা খারাপ আচরণ শুরু করেন। বেডসিট আলমারি থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার অর্ডার করেন, যেখানে একজন রোগীসহ রোগীর সাথে থাকা স্বজনকে সার্বিক সেবা প্রদান করার দায়িত্ব নার্সদের। এরপর শিশু রোগীটিকে হাতে ক্যানোলা পরানোর জন্য তাঁর মাকে বলেন শিশুটিকে নার্সদের কক্ষে নিয়ে যেতে, অথচ একজন মুমূর্ষু রোগীর হাতে ক্যানোলা পরানোর কথা রোগীর বেডের কাছে গিয়ে।
এখানেই শেষ নয়, নার্সদের কক্ষে গিয়ে অসুস্থ শিশুটিকে তাঁর মা ক্যানোলা পরিয়ে নিয়ে আসার পর স্যালাইন দিতে বললে সেখানেও তাঁরা অবহেলা আর দেরি করেন। অসহায় মা তাঁর শিশুটির চিকিৎসার জন্য তাদের অবহেলা আর দেরি সহ্য করে হলেও শুধুমাত্র তাঁর সন্তানের সুস্থতার জন্য সেখানে তাদের সাথে কোন প্রতিবাদ করেননি। এরপর যখন স্যালাইন শেষ হয়ে আসার পথে তখন অসুস্থ শিশুটির মা তাঁর স্বামীকে বলেন নার্সদের জানিয়ে আসতে। শিশুটির মায়ের কথামতো তাঁর বাবা নার্সদের জানিয়ে আসেন। তারপর স্যালাইন শেষ হয়ে যাওয়ার পর অসুস্থ শিশুটির বাবা তাদেরকে জানান স্যালাইন শেষ হয়ে গেছে তখন তারা শিশুটির স্যালাইনের পাইপে থাকা সুইচ বন্ধ করে দিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন।
কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অতিবাহিত হয়ে গেলেও নার্সরা কেউ না এগিয়ে এলে অসুস্থ শিশুটির বাবা পাইপে রক্ত দেখে ঘাবড়ে গিয়ে আবার নার্সদের কক্ষে গিয়ে শিশুটির হাত থেকে স্যালাইনের পাইপ খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে গেলে জান্নাত নামের একজন নার্স তাঁর সাথে চরম খারাপ ব্যবহার করেন এবং বলেন শিশুটির কাছে যেতে তার আরো দশ মিনিট সময় লাগবে। এভাবে কথা বলার কারণে শিশুটির পিতা তখন জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসারকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন। তখন তিনি বলেন তিনি বিষয়টি দেখবেন। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় সেই সময় কোন নার্স শিশুটির স্যালাইনের পাইপ খুলতে যাননি। বরং পাঠিয়েছিলেন একজন আয়াকে শিশুটির স্যালাইনের পাইপ খোলার জন্য, যেটা আসলেই কখনো উচিত নয়। কারণ আয়ারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ অন্যান্য কাজ করে থাকেন।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সদের খারাপ ব্যবহারের স্বীকার অসংখ্য ভুক্তভোগী মানুষের মধ্যে আলতাপোল নিবাসী ইমরান হোসেন বলেন, ‘একবারে বেশি দ্বিতীয় বার ডাকলে খারাপ ব্যবহার করে। রোগী নিয়ে সবাই টেনশনে থাকে এই জন্য অসহায় এর মতো নার্সদের খারাপ ব্যবহার সহ্য করা ছাড়া কিছুই করার থাকে না।’
কেশবপুরের একজন যুবক মোঃ বোরহান তাঁর সামনে ঘটে যাওয়া নার্সদের নিয়ে একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলেন, ‘তাঁর সামনে একজন শ্বাসক্টের রোগীর নিশ্বাসের কষ্ট হচ্ছে এটা দেখতে না পেরে ওনাদের কাছে একাধিকবার গিয়ে দ্রুত অক্সিজেনের ব‍্যবস্থা করতে বলেন। কিন্তু তাদের কোন গুরুত্ব নেই, আর এদিকে রোগীর মাও বারবার বলেছেন কিন্তু তাতেও তারা কোন পাত্তা দেইনি। সর্বশেষ ওনাদের হালকামির জন্য ওই বোন মারা গেল, স্বামী ও দুই সন্তান রেখে। এই সব দেখার কেই নাই। এমন অনেক নির্মম ইতিহাস আছে। পরে এমন ভাব নেয় যেন ওনারা কিছুই জানেন না। আর রোগীসহ রোগীর সাথে আসা লোকদের সাথে ব‍্যাপক খারাপ ব‍্যাবহার করে।’
কেশবপুরের ভোগতি নিবাসী আবুবক্কার সিদ্দিক বলেন, ‘নার্সরা সাধারণ মানুষের কোন কথায় শুনতে চাইনা। ওরা নিজেদের অনেক কিছু ভাবে।’
কেশবপুরের আরো এক যুবক মাহাবুবুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘কেশবপুর হাসপাতালের নার্সরা ছাড়াও ওয়ার্ডবয়,পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ আয়াদের‌ও ব্যবহার অত্যান্ত খারাপ।’
রোগী বহনকারী কেশবপুরের একজন এম্বুলেন্স চালক জিয়াউর রহমান বলেন, ‘নার্স, আয়া, ওয়ার্ড বয় কেশবপুর হাসপাতালে এক‌ই জায়গায় দীর্ঘদিন চাকরি করার ফলে এদের ব্যবহার খুবই খারাপ। এরা আসলে মনে করে কেশবপুর হাসপাতাল তাদের বাড়িঘর। আসলে এই বিষয়গুলো দেখার কোন লোক নেই।’
কেশবপুর সদর ইউনিয়ন নিবাসী মোঃ তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স, আয়া, ওয়ার্ড বয়সহ অন্যান্য বেশ কিছু কর্মচারীদের ব্যবহার অত্যান্ত খারাপ। হসপিটালের বহির্বিভাগ, জরুরী বিভাগ ও অন্তঃবিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অধিকাংশ রোগীসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করে প্রতিনিয়ত এবং সাধারণ মানুষের কোন কথাই এরা শুনতে চায় না।’
এছাড়া সদর ইউনিয়নের সাদেক বাচ্চু বলেন, ‘এক জায়গায় অনেকদিন চাকরির বয়স হয়ে গেলে এমনিতেই পাওয়ারফুল হয়ে যায়। কারণ ওদের আর ধৈর্য সহানুভূতি কাজ করতে চায় না। খিটখিটে মেজাজ নিয়ে থাকে সবসময়, যার কারণে তারা খারাপ ব্যবহার করে। কিন্তু আসলে রোগী ও সাধারণ মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করা উচিত নয়।’
এদিকে কেশবপুর পৌরসভা নিবাসী সোহেল ও ইকরাম তাঁরা উভয়েই বলেন, ‘কেশবপুর হাসপাতালের নার্সরা মূলত অত্যাচারী সেবা দিয়ে থাকে। ওদের খারাপ ব্যবহারের কারণে সাধারণ, গরীব ও অসহায় রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসলেও চিকিৎসা সেবার তুলনায় হয়রানির স্বীকার হয় বেশি, যেটা আসলে আমরা সাধারণ মানুষেরা কখনো কামনা করিনা।’
কেশবপুর পৌরসভার আরো একজন নিবাসী আবুল হোসেন বলেন, ‘একটা অফিসের প্রধান যদি ঠিক থাকে তাহলে তাঁর অধিনস্ত কর্মচারীরা কোন কিছু করতে পারে না। উনার আগেও কিন্তু ওই অফিসের প্রধানরা ও ছিলেন। তখন কিন্তু বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান আর যশোর জেলার ভিতরে প্রথম স্থান অধিকার অর্জন করে নিয়েছিল কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি। অথচ আজ এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নামে জনমনে অভিযোগ ও আফসোসের শেষ নেই।’
এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জান্নাত, রুমা ঘটক, চায়না এই যে কয়েকটা বয়স্ক নার্স, এই বয়স্ক নার্সদের নিয়ে যে কি করবো? কতোবার করে যে এদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে বার বার বলা হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে তাদের যে সুপারিনটেনডেন্ট আছে তাকেও এ বিষয়ে বলা হয়েছে, সে আসতেছে এই কয়েকজনকে নিয়ে বসার জন্য। এদের ট্রান্সফারতো আমাদের হাতে না, সিভিল সার্জন‌ও পারেনা, ডাইরেক্ট‌র‌ও পারেনা। এদের সম্পূর্ণ সব প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যবস্থা আলাদা। এটাই হচ্ছে সমস্যা। এই পুরাতন, যাদের বয়স হয়ে গেছে তাদের অধিকাংশের ব্যবহার খারাপ। আর এদেরকে সেকেন্ড ক্লাস বানানোতে এমন অবস্থা হয়েছে, এরা সেকেন্ড ক্লাস মনে করে এরা যে নিজেদেরকে কি ভাবে? অথচ নতুন নার্স যারা আছে তাদের ব্যবহার অনেক ভালো। তবে তাদের বিরুদ্ধে মে অভিযোগগুলো উঠে এসেছে সেগুলো আসলেই বাস্তব এবং এদের সম্পর্কে অনেক লেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি, ডাইরেক্টর স্যার মিলে আমরা অন্যভাবে আগাইতেছি। খুব তাড়াতাড়িই রেজাল্ট পাওয়া যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি মিথ্যা এবং রোগীর কষ্ট হবে এগুলোকে কখনো প্রশ্রয় দেইনা। আমি এখানে থাকি বা না থাকি আমি সত্যভাবে কাজ করে যাবো, রোগীর স্বার্থে সুন্দরভাবে কাজ করে যাবো। হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে রোগীরা সেবা নিতে আসে দায় ঠেকে আর তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হবে এটা আমি প্রশ্রয় দেইনা। আমাদের ডাক্তাররা রোগীর প্রয়োজনে কল করার সাথে সাথে আড়াইতলা থেকে ছুটে চলে আসে বার বার, আমাদের ডাক্তাররা বিরক্ত হয় না, ঘুম থেকে উঠে এসে সুন্দরভাবে রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে রোগীকে দেখে চলে আসতেছে। তাহলে নার্সরা বিরক্ত হ‌ওয়ার কে? তারা কেন রোগীর সাথে খারাপ ব্যবহার করবে? ডাক্তারের চিকিৎসা সেবার পরে অন্যান্য সেবাগুলো দেওয়ার দায়িত্ব হলো নার্সদের। আসলে নার্সদের এই কথাগুলো উঠে আসছে এবং এই বিষয়গুলো নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমরা নার্সদের এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি এবং আমরা আশাকরছি খুব দ্রুত‌ই একটা ফলাফল পাওয়া যাবে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর

কালিগঞ্জে উপজেলা বিএনপি’র উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত মোঃ আজগার আলী, জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঘোষিত ৩১ দফা অবহিতকরণ ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষে গণসমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলার সোহরাওয়ার্দী পার্কে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশটিতে সদস্য সচিব ডা: শেখ সফিকুল ইসলাম বাবু ও উপজেলা যুবদলের সিনিঃ যুগ্ন আহবায়ক প্রভাষক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সমন্বয়ক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব। উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির আহবায়ক শের এ আলী, সদস্য সচিব তাসকিন আহমেদ চিশতি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সোহেল আহমেদ মানিক, জেলা তাতি দলের আহবায়ক শাহারিয়ার রিপন, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুস সামাদ, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক সালাউদ্দীন লিটন প্রমুখ। এছাড়া কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি এবং তার অংগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মিসহ জনসাধারণে পরিপূর্ণ হয় সভাস্থল। সমাবেশটিতে বক্তারা বলেন প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য অব্যাহত আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎমুখী এক নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছানো। মানবিক মূল্যবোধ ও মানুষের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং অমানবিক নিষ্ঠুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অবসান ঘটানো সহ মানবাধিকার বাস্তবায়ন এবং গত দেড় দশক যাবত সংগঠিত সকল বিচারবহির্ভূত হত্যা, ক্রসফায়ারের নামে নির্বিচারে হত্যা, গুম, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্মম শারীরিক নির্যাতন এবং নিষ্ঠুর ও অমানবিক অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকল ব্যক্তিকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুবিচার নিশ্চিত করা সহ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে সাম্য মানবিক ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করা সম্ভব। তারা জনগণকে সাথে নিয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করে যাওয়ার দৃড় অঙ্গীকারন ব্যক্ত করেন।

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক লিখনী সংবাদ
Theme Customized By Shakil IT Park