নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ-
রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন ছালাম সর্দার রোড বালুমাঠ এলাকার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ অন্তর্গত ১৪ নং ওয়ার্ড এর সাধারণ সম্পাদক জনাব হুমায়ুন কবির বিগত ৫/৮/২০২৪ ইং তারিখে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার পতনের পরে আনন্দ ও উৎসবের মুহূর্তে উনি নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য লুটতরাজ ও ধ্বংসাত্মক তাণ্ডব চালিয়েছেন, ১৪ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে সহ একটি ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সম্পত্তির ঝামেলা তাদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছিল এখনো আদালতে মামলা চলমান আছে (হুমায়ুন কবিরের বাবা মৃত্যু মকবুল সাহেব ১৯৯০ ইং সালে তার/তাদের বতমান দাবী করা সম্পত্তিটি আলী এন্ড নূর রিয়েল স্টেটের সাথে এওয়াজ বদল করেছেন এবং উক্ত আলী এন্ড নূর এই সম্পত্তিটি বন্ধক রেখে সোনালী ব্যাংক সাতমসজিদ রোড ঢাকা শাখার নিকট হতে লোন নেয় যা পরবর্তীতে ঋণ খেলাপি হিসেবে অর্থজারী ঋণ আদালতে ঋন গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে ব্যাংক মামলা মোকদ্দমা করে যা বর্তমানে আলী এন্ড নূর এর মালিকানা ও ব্যাংক কিসের মালিকানার ভিত্তিতে ঋণ প্রদান করলেন এবং উক্ত জটিলতার বিষয়টি নিয়ে আলী এন্ড নুর কিভাবে এই সম্পত্তিটি মকবুল সাহেব থেকে গ্রহণ করলেন এই বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে )সেই মামলা ও প্রশাসনিক বিভিন্ন স্তরের বিভাগীয় জটিলতা গুলিকেও আড়াল করে রেখে সেটাকে দলীয়করণ দেখিয়ে অর্থাৎ রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন পারিবারিকভাবে এরকম মনোভাব তিনি কর্মী সমর্থকদের দেখিয়ে হামলা করে বাদী স্থানীয় বাসিন্দা মো:অলিউর রহমান গংদের সম্পত্তি এবং আদালতে চলমান সকল মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত দায়িত্বে নিয়োজিত দুজনকে আহত করেছেন এবং আদালতে মামলা চলমান অবস্থা থাকা সম্পত্তিটি বিশেষ সুত্রে জানা যায় যে, ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী হুমায়ুন কবির পুনরায় জবর দখল করার চেষ্টা করছেন,,, ইতিপূর্বে বিগত ৩১/৩/২০২৩ ইং তারিখেও একটি নারকীয় হামলা সংঘটিত করে হুমায়ুন কবির তার নিজ দলের কিছু সুবিধাভোগী নেতাকর্মীদের নিয়ে এবং তৎকালীন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের নেতা হাজী মো:রাসেল,ইসরাফিল হোসেন মামুন, আমজাদ সরদার, আলাউদ্দিন সরদার, আজাদ আহমেদ ভুট্টু,সহ স্থানীয় সন্ত্রাসী ও কিশোর গং পরিচালনাকারী, বৃটিশ নাসির, সিদ্দিক ম্যানেজার ও তার ছেলে প্রিন্স পারভেজের নেতৃত্বে তাদের সমস্ত দায়িত্বরত অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এবং ডিবি ও পুলিশের সোস হিসেবে পরিচিত কাদির হোসেন(কাওিক ফমা)সহ অন্যান্য সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা বাদী মো:অলিউর রহমান এর উওর সোনাটেঙ্গর মৌজায় অবস্থিত জমিদারি বিলাস নামক বাড়িতে,শেখ আনসার আলী ভিলায় এবং তাদের দানকৃত অন্য জমিতে নির্মানাধীন তাহেরুনন্নেসা জামে মসজিদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ক্ষতিগ্রস্ত করা সহ আমাদের অন্যান্য দাগের জমির স্থাপনায় এবং আমাদের মালিকানাধীন প্লটের ভাড়াটিয়াদের জানমালের উপরও হামলা চালায় ও ব্যাপক লুটতরাজ চালায়।এই ঘটনাটি তৎকালীন সময়ে হাজারীবাগে খুব আলোচিত ও সমালোচিত ঘটনা ছিল এবং ১/৪/২০২৩ ইং তারিখে দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাজারীবাগ থানায় ২(৪)২০২৩ইং একটি মামলা দায়ের হয় উক্ত মামলাতেও বেশ কিছু দিন ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী থাকাবস্থায় বেশ কিছু দিন আগে জেল খেটেছেন এবং বর্তমানে হুমায়ুন কবির জামিনে আছেন।উক্ত হামলার বিষয়ে তৎকালীন ডিএমপির কমিশনার গোলাম ফারুক বরাবর একটি অভিযোগ পত্র জমা দিলে পরবর্তীতে সেটি পুলিশ নিরাপত্তা বিভাগ সচিবালয় ঢাকাতে বিভাগীয়ভাবে তদন্তের মাঝেই অভিযুক্ত ও দোষী পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এতে হাজারীবাগ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ,কে সায়েদুল হক ভূইয়া সহ পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা অনএ্য বদলী হন।মূলত বিষয়টি যেহেতু জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় এবং এটি নিয়ে বর্তমানে আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ১৪৯/২০১৯,,,ফৌজদারি পিটিশন মামলা নং ২০/২০২০ ও ১০৭/২০২২ ইং এবং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি পিটিশন মামলা নং ২৩২/২০২২ যা পরবর্তীতে মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন ১৯৭১/২০২৩ ইং মামলা নং হিসেবে চলমান আছে। এই কথিত ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা যারা কিনা বতমানে আওয়ামী স্বৈরশাসন ব্যবস্থার পতন ঘটলেও যেহেতু ভূমিদস্যু এবং একজন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনাকারী ব্যবসায়ী তাই আওয়ামীপন্থী ভূমিদস্যু এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের সাথে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির তাদের সাথে আঁতাত এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয় এখনো যেমন আছে আর তখনও তেমন ছিলো বিধায় বাদির সেই হামলার সময়ে বিগত স্বৈরশাসকের আমল ও বিরোধীপন্থী রাজনীতিবিদ হওয়ার পরেও বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির তৎকালীন সময়ের হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এবং সর্বোপরি আওয়ামী লীগের সমস্ত বাহিনীর নেতৃত্বের শক্তি নিয়ে এক পর্যায়ের বাদির উপর এই সন্ত্রাসী হুমায়ুনবাহিনী তৎকালীন আওয়ামী লীগের ক্ষমতাধর নেতা তার রক্তের আত্মীয় চাচাতো ভাই হাজী মোহাম্মদ রাসেল ও ফুফাতো ভাই ইসরাফিল হোসেন মামুনের নেতৃত্বে বাদিও তার পরিবারের উপর হামলা চালায়। বতমানে এই ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী নিয়ন্তক রাজনৈতিক ছত্রছায়া ব্যবহার করে বিএনপি নেতার মুখোশের আড়ালে হুমায়ুন কবির তার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য বাদি ও বাদীর ছেলে মো:মুরাদ সহ তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের রাজনৈতিক ট্যাপে ফেলে এবং প্রাণনাশের হুমকি ধামকি সহ আদালতের মামলাগুলো,পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ সহ সকল কিছু থেকে যদি বাদি নিজেদেরকে সরিয়ে না নেয় বা তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান না করে তাহলে বাদি সহ পরিবারের সকল সদস্যকে এর চরম মাশুল গুনতে হবে। তাই যেহেতু সম্পত্তির বিষয়গুলি ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক,,, তাই এই সম্পত্তির সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাতে ১৪ নং ওয়াড এর সাধারণ সম্পাদকের পদবীকে এবং দলকে ব্যবহার করে হুমায়ুন কবির যাতে দলীয় প্রভাব না খাটাতে পারে এবং যাতে কর্মীদেরকে ব্যবহার করে নিজের ফায়দা লুটে নিয়ে দলকে এবং দলের উচ্চ পর্যায়ের কোন নেতাদেরকে যেন তাদের নেতৃত্বের বিষয়ে প্রশ্নবিদ্ধের সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য তার দলের মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা দশের সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম রবি, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার অসীম বরাবর তার এহেন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অবগত করা হয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয় ।পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে পুলিশ মহাপরিদশক বরাবর,ডিএমপি কমিশনার বরাবর, রমনা বিভাগের ডিসি বরাবর, পিবিআই প্রধান বনোজ কুমার সহ ডিবি প্রধান হারুনের আমলের সকল অভিযোগের বিষয়ে ২টি অভিযোগ ব্যতিত সকল বিভাগীয় ব্যবসহা গ্রহণ করলেও যেহেতু বতমানে অন্তবর্তী কালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছেন সেজন্য এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনগত ও সঠিক বিচার প্রাপ্তির আশায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় বরাবর এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা বরাবর এই বি,এন,পির মুখোশদারী সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন ও তার এই ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী পরিচালনাকারী ব্যবসায়িক অংশীদার বিগত আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী, ও চিহ্নিত দালালদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেওয়া হয়েছে। তার এরুপ আচরনের বিষয়টি নিয়ে তার কমিটির নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি মীমাংসা করার যোগ্য কিনা কিংবা সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির আসলেই ভুক্তভোগী কিনা তাহলে তাকে উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে বাদির সাথে বসে যদি বিষয়টি মীমাংসা করতে পারে তাহলে বাদি অবশ্যই বিষয়টি মূল্যায়ন করবে আর যদি বিবাদিরা বিষয়টি উপস্থাপন করতে না পারে অথবা উপযুক্ত মালিকানার বিষয় সঠিক জবাব দিতে না পারে তবে তাকে এহেন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার বিষয়ে নেতৃবৃন্দদেরকে জানানো হলেও তারা আর পরবর্তী যোগাযোগ করেনি??? এমতাবস্থায় বাদী যেহেতু বাংলাদেশের একজন সাধারন নাগরিকের সে হিসেবে তার বিচার প্রার্থনার শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে আদালত, কিন্তু ১৪ নং ওয়াড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির আদালতকে যেন বৃদ্ধাঙ্গুলি না দেখাতে পারে এবং নিজের পদবীর প্রভাব খাটিয়ে দলকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে বাদি সহ তার পরিবারকে যাতে কোন প্রকার হেনস্তা করতে না পারে এ বিষয় প্রসাশনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা মাননীয় পুলিশ কমিশনার ডিএমপি ও বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মহোদয় সহ প্রশাসনের সকল কমকতার দৃষ্টি আকর্ষন করছি । কারণ গোপন সূত্রে ও লোকমারফত জানা যায় যে, ভূমিদস্যু হুমায়ুন কবির বলেছেন প্রয়োজনে শত শত লাশ যদি পড়েও তারপরও এই জমি এবং বাজার তিনি দখলে নিবেন এবং রাখবেন।গত ৫ ই আগস্ট ২০২৪ স্বৈরাচারী সরকার পতনের পরে ভূমিদস্যু এই হুমায়ুন জাতীয়তাবাদী দলের পরিচয় ব্যবহার করে বৈষম বিরোধী ছাএ আন্দোলনে নিরীহ ছাএ জনতা হত্যাকারী বা তাদের উপর হামলাকারী অভিযুক্ত আওয়ামীলীগের নেতাকমীদের নিকট হতে আথিক সুবিধাভোগ করে তাদেরকে তাদের অবস্থানে থাকতে সহযোগীতা করে উল্টো হাজারীবাগ থানায় শতশত নিরীহ মানুষের প্রতি মিথ্যা মামলা দায়ের করে মামলা বানিজ্য যেন করা যায় এজন্য তিনি ব্যাপকভাবে পায়তারা চালিয়ে যাছেন যা এখনো চলমান রয়েছে।