তপন দাস, নীলফামারী
নীলফামারীর ডোমারে তৃতীয় শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ডোমার উপজেলার সোনারায় রাহিমা নূরানী একাডেমি মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সোনারায় দোলাপাড়া এলাকার মৃত মনছুর আলীর ছেলে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানাজানি এলাকা থেকে পালিয়ে যায় তিনি।
তাই এঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনারায় হাইস্কুলের সামনে নীলফামারী ডোমার এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে মানববন্ধন করেন উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। এসময় তারা বলেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাসুদ রানাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন । এসময় উক্ত মানববন্ধনে শিক্ষার্থী অভিভাবক এবং এলাকাবাসীসহ পাচ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা আরো বলেন পরিচালক মাসুদ রানা তার মাদ্রাসার অনেক ছাত্রীর শরীরে হাত দেন, বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে ও হাত দিতো এবং ছাত্রীদের বিভিন্ন রকম কুপ্রস্তাব ও দিতো। এবং বিষয় গুলো যেন জানা জানি না হয় সে জন্য তিনি মাদ্রাসার হুজুর দের কে ও হুমকি দিতো। এবং এর আগে ও তার কুপ্রস্তাবের কারনে মাদ্রাসাটি থেকে অনেক ছাত্রী বের হয়ে যায় তাই মাসুদ রানাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি করেন, এবং তারা আরো বলেন এই মাদ্রাসায় যেন কোন পুরুষ শিক্ষক ছাত্রীদের ক্লাসে ডুকতে না পারে এবং ক্লাস যেন না নেয়।
ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হওয়া ভুক্তভোগী ছাত্রীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন রাতে ক্লাস নেয়ার কথা বলে হুজুর তার রুমে ডেকে নেন এরপর পিছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে এসময় আমি ধস্তাধস্তি করে রুম থেকে বেড়িয়ে এলে ঐ রুমে থাকা অন্য দুই ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেন।
একটি সুত্র মতে জানা যায় মাদ্রাসার পরিচালক মাসুদ রানা এর আগে ও বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সাথে অপকর্মে জড়িয়েছেন।
এবিষয়ে সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক মাসুদ রানার বিষয়টি আমি শুনেছি , এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে এবং দুই পক্ষ কে নিয়ে বিষয় টি সমাধানের চেষ্টা করছি।
এবিষয়ে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।