সেলিম চৌধুরী
জেলা প্রতিনিধি, রংপুর ঃ
গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) সন্ধ্যা ৭ টায় রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারের অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ডা. হালিদা হানুম আখতারের “সম্ভ্রমযোদ্ধা সেবাসদন ও একজন ডা. হালিদা” গ্রন্হটির আলোচনা অনুষ্ঠান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ এবং রংপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট জনাব হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বাংলাদেশ প্রাণীবিদ্যা সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. হামিদা খানম, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ, লেখক ও গবেষক ড. নাসিমা আকতার, লেখক ও সংগঠক শ ম আমজাদ হোসেন সরকার ও এডভোকেট মাসুম হাসান প্রমূখ।
ডাঃ মোঃ মফিজুল ইসলাম মান্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কারমাইকেল কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব রকিবুস সুলতান মানিক, রংপুর আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ মনিরুল হক প্রধান, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদসহ রংপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায় ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে সাদাবাহার সেবাসদনে সেবাদানকারী, রত্নগর্ভা পরিবারের সন্তান ও সম্প্রতি বেগম রোকেয়া ( ২০২৩) পদকপ্রাপ্ত ডা. হালিদা হানুম আখতার কর্তৃক সম্ভ্রমহারা নারীদের চিকিৎসা প্রদান ও অভিজ্ঞতা নিয়ে ” সম্ভ্রমযোদ্ধা সেবাসদন ও একজন ডা. হালিদা” গ্রন্হটি রচিত হয়েছে।
বইটিতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নারীদের সঙ্গে কি ধরণের অমানবিক আচরণ ও পাষবিক নির্যাতন করা হয়েছিল তার বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বীরাঙ্গনা নারীদের এখানে “সম্ভ্রমযোদ্ধা” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, স্বনামধন্য প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং রত্নগর্ভা পরিবারের সন্তান, দেশ বিদেশে একাধিক পুরস্কার প্রাপ্ত ডা. হালিদা হানুম আখতার-এর জন্ম রংপুরে। তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজের একজন প্রাক্তন ছাত্রী এবং কারমাইকেল কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির আজীবন সদস্য। তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেছেন এবং একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। দেশ বিদেশে চিকিৎসা সেবায় তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি আমাদের রংপুরের গর্ব। অনুষ্ঠানে একাধিক বক্তা জনাব ডা. হালিদা হানুমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন এবং এই গ্রন্গটি পড়ার আহবান জানান। বইটি দেশের জেলা ও বিভাগীয় শহরের লাইব্রেরিগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।